গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জোরপূর্বক যৌনকর্মে লিপ্ত করার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
গাজীপুরের(ছোট পাপিয়া আপা খ্যাত) জিসিসি‘র সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১৬,১৭,১৮ নং
ওয়ার্ডের নির্দেশনায় এক বিউটি পার্লারের কিশোরী কর্মীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক যৌনকর্মে লিপ্ত করার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরী বাদী হয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন মো. নূরুল হক (৬৫) শ্রীপুরের কাওরাইদ এলাকার কালু শাহ ফকিরের ছেলে।তিনি গাজীপুর নগরীর গ্রেটওয়াল সিটির এক বাড়ির কেয়ারটেকার।
জিএমপি‘র বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান,এ ঘটনায় মামলার পর ২ নম্বর আসামি নূরুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার প্রধান আসামি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬,১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী (৪০)। মামলায় আরও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি কামরুল জানান, চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রহমান শপিং মলে তার পরিচালিত ‘আনন্দ বিউটি পার্লার’- এ মামলার বাদী কিশোরীকে চাকরি দেন।
কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে এক বাসা ফ্ল্যাট ভাড়া নেন এই নারী কাউন্সিলর। সেখানে রেখে ওই কিশোরীকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হতো।পাশাপাশি তাকে ‘কাজের মেয়ে’ পরিচয় দিয়ে ঘরে বিভিন্ন কাজ করানো হতো।
উল্লেখ্য গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় প্রধান আসামি ওই ফ্ল্যাটে তাকে দিয়ে যৌনকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করেন।
একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে এসব কাজ করতে বাধ্য করা হয়।পরে মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে বাসন থানায় মামলা করেন ওই কিশোরী ।